Forum Replies Created
সাধারণ আর অসাধারণে বস্তুগত পার্থক্য কিছু নেই বলে আমার মত। যে কোন বস্তু বা ধারণা অসাধারণ হয় তার নির্দিষ্ট কিছু গুণাবলী না বিচার করে এবং নির্দিষ্ট কিছু গুণ বিচার করে।
যেমন, সাধারণ ট্যাক্সিচালক হাজার টাকা কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দিলে আমরা অসাধারণ বলি। কারন সাধারণত কেউ ফেরত দেয় না। খেটে খাওয়া লোক আরো দেবে না এইটে সমাজের ধারণা। যেন পয়সাওয়ালা লোক কুড়িয়ে পেলে তার দরকার নেই বলে ফেরত দিতোই।
অথচ ফেরত দেওয়াটা কিন্তু সত্যিই সাধারণ হওয়ার কথা। সেটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা। কিন্তু হয়নি। কারন মানুষের ওই দিকটাই সামাজিক চাপে হারিয়ে যাচ্ছে প্রায়। মানে এই গুণটা আর ইম্পরট্যাণ্ট বলে কনসিডার হচ্ছে না।
তেমনই কোন নির্দিষ্ট ধারণা যেটা স্বাভাবিক ছিলো কিন্তু বিভিন্ন প্রভাবে এখন দেখা যায় না, এমন দিক ছবিতে তুলে ধরতে পারলেই অসাধারন ব্যাপারটা ধরা যেতে পারে। It’s kind of showing the most unexpected idea at most unexpected place.
প্রাথমিক স্তরে এটা দৃশ্যাঙ্গ দিয়েই হয়। যেমন খুব ছোট্ট উদাহরণ – স্যাচুরেশান বা কন্ট্রাস্ট একটু বেশি হলে অনেকে ছবিকে অসাধারণ মনে করে। ভিতরে যে মনোভাব কাজ করে তা আমার মনে হয় এই কারনেই যে বাস্তবে ওইরকম রঙ দেখা যায় না অথচ দর্শক বিশ্বাস করে বাস্তবে রঙ বা কন্ট্রাস্ট ওইরকমই হওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু সে দেখতে পাচ্ছে না। পোর্ট্রেটও তাই – মানুষ মনে করে তাকে কোন বিশেষ মত অত্যন্ত সুন্দর (!) হওয়া উচিৎ ছিলো, কিন্তু সে বাস্তবে সুন্দর নয়। ফলত ছবিতে সে নিজের না হওয়া সৌন্দর্য দেখতে চায়।
মানুষের মনের সামাজিক বিন্যাস বুঝতে পারলে এইটে আরো ধারণা করা যায়, কোন ব্যাপারটা মানুষ অসাধারণ মনে করতে পারে। এইটে করতে গিয়ে অনেকে “visual shock” গোছের জায়গাতেও পৌঁছে যান। ওই আনএক্সপেক্টেড ব্যাপারটা ধরতে গিয়ে। মানুষের মাথার জায়গায় ফুটবল ধরে ফেলে অসাধারণত্ব ধরতে যান। আমার মতে এইটে প্রকৃত পথ নয়। আরো একটু গভীরে ধারণাগত ভাবে ভাবতে পারলে সম্ভাবনা আরো বাড়ে।
শৈল্পিক ভাবে অসাধারণত্ব দেখানো মানে আসলে সাধারণের মধ্যে অসাধারণের গুণ দেখানো। সেইটে দৃশ্যত আবিস্কার করাই আসল শিল্প। স্কেল, ইন্টেন্সিটি আর ভিস্যুয়াল রেটোরিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এইভাবে ভাবলে।
আর একটা পদ্ধতি আছে, যেটা সহজ মনে হলেও সহজ নয়। সেইটে হল সাধারণকে অত্যন্ত সাধারণভাবেই ধরে ফেলা। বিশ্বাস রাখা সাধারণ তার নিজের সাধারণত্বের গুণেই অসাধারণ। সারা বিশ্বজুড়ে সব্বাই অসাধারণ হওয়ার চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টাটাই ঝেড়ে ফেলতে পারলে হয়তো প্রকৃত অসাধারণ চোখে ধরা দেয়। ছোট্ট জিনিসের মধ্যেও বিশালত্বের আভাস দেখা যায়। আমি বেশ কিছুদিন এই পথে চলি। তবে এ পথ সবার নয় সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত!
আমার মনে হয় রঙ বাদ দিলে অন্য ছ’টা দৃশ্যাঙ্গের অনুভব আরো স্পষ্ট হয়। রঙ তার বর্ণময়তার জন্যেই বোধহয় দৃশ্যাঙ্গগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী নজর কাড়ে। তুই সব এলিমেন্ট দেখছিস বলেই রঙের প্রয়োজন কমছে…
আসলে রঙের সঙ্গে আলাপেও মিলন বিরহ আছে। কখনো রঙ কাছে আসে। কখনো দূরে সরে যায়…
আমার মতেও কৌশিকি যেমন দেখিয়েছে তেমনই।
প্রধান ইন্টারেস্ট পয়েন্ট অবশ্যই মানু্ষটি। বাকিগুলো তার চারপাশে সাজানো হয়েছে।
ভ্যালু নিয়ে কাজ মূলত: তার সঙ্গে midground এ ছোট কালো পাথরের জমি আর foreground এ সাদা পাথরের জমির লাইন বেশ গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে…এবং টেস্কচার….পুরো জমিটাকে ভাঙতে সাহায্য করছে। জল আর পাথরের ক্যারেক্টার তৈরি করছে
তারপর শেপ…মানুষটির নিচু হয়ে থাকার ভঙ্গী পাথরের শেপ এর সঙ্গে যায়…
Please post the clean picture as well… so that others can point out
Technical আর emotional বাদ দিয়ে আর অন্য কোন দিক দিয়ে দেখা যায় সেটা ভাবা সহজ নয়। কিন্তু চেষ্টা করলে অনেক ভাবেই দেখা যায়….
- রূপ থেকে ভাবে পৌঁছনোর রাস্তা – মূর্তি বা প্রতিমার মতো
- কথ্য ভাষা থেকে আরো উন্নত প্রকাশমাধ্যম
- শক্তি পরিবাহী মাধ্যম
আরো অনেক দিক থেকেই যায়। এবং প্রত্যেক দেখাই নতুনতর দেখার জন্ম দেয়…